আমিনুল হক, ঢাকা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণে ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূর্তি হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’র অংশ হিসাবে এই আয়োজন অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতির জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের কিছু অংশ পড়ে শোনান। আইজিসিসি শিক্ষকদের নেতৃত্বে ভারতীয় নাগরীকদের একটি দল জাতীয় সঙ্গীত এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। ভারতীয় বিপুল সংখ্যক নাগরিক অনুষ্ঠানটিতে ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন শ্রদ্ধা ও প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় শোক দিবস পালন করছে। সোমবার সকাল থেকেই শোকাতর মানুষ কাতারে কাতারে ছুটে আসেন ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতিবাদেও গর্জে ওঠেন তারা। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানান। ১৫ আগস্ট রাতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। এই হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর, বনানী কবরস্থান এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। সোমবার ভোরে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসেন ৩২ নম্বরে। তারা ভোর থেকেই লম্বা লাইন দিয়ে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অধিকাংশ মানুষের পড়নে ছিল কালো পাঞ্জাবি ও শাড়ি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও কথা বলেন ড. শেলিনা আকতার। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এ দিবসটি পালন করছে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।