অনলাইন ডেস্ক : ডিমা হাসাও জেলার শৈল শহর হাফলঙে এক উপজাতি উচ্চ শিক্ষিত মহিলার সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা সংগঠিত হয়। আব্দুস সিদ্দিক আহাদ উদ্দিন নামের দুই যুবক এই উপজাতি উচ্চ শিক্ষিত মহিলার সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ওই মহিলা আব্দুস সিদ্দিক ও আহাদ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে হাফলং থানায় এক এজাহার দাখিল করার পর পুলিশ এনিয়ে এক মামলা রুজু করেছে। তবে বর্তমানে এই অপকর্মে লিপ্ত দুই যুবক পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলা ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন তিনি পুরানা কাপড়ের ব্যবসা করে নিজের পরিবার চালান এবং তার মাকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের এপিএসি পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং এই পুরানা কাপড় তিনি ক্রয় করেন আব্দুস সিদ্দিক ও আহাদ উদ্দিনের কাছ থেকে। গত ১ নভেম্বর তিনি কাপড় কিনতে প্রথমে আব্দুস সিদ্দিকের দোকানে আসেন এবং আব্দুস সিদ্দিক ওই মহিলাকে কাপড় দেখানোর ছলে হাফলং বিজেপি অফিসের সামনে তার গুদামে নিয়ে যায় এবং সেখানে ওই যুবক মহিলার শ্লীলতাহানি করে। তারপর ওই মহিলা সিদ্ধান্ত নেন যে আব্দুস সিদ্দিকের কাছ থেকে সে আর কাপড় কিনবে না। এবং লোক লজ্জার ভয়ে তিনি এই ঘটনা চেপে যান। তারপর তিনি ২৪ নভেম্বর ওই মহিলা আহাদ উদ্দিনের কাছে পুরানা কাপড় কিনতে গেলে ওই যুবক ও মহিলার সঙ্গে অপকর্ম করার চেষ্টা চালায় বলে মহিলা অভিযোগ করে ২৫ নভেম্বর ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে হাফলং থানায় এজাহার দাখিল করার পর পুলিশ এই ঘটনার অনুসন্ধান করে হাফলং থানায় এক মামলা রুজু করে যদি ও ওই মহিলাকে বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্য তাকে কিছু লোক চাপ দিতে থাকে এবং মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ করে ওই মহিলা বলেন যারা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তারা তাকে জানিয়েছে ওই দুই যুবকের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে তারা গুয়াহাটি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যাবে। তাছাড়া এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক রং পেতে পারে তাই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য এবং তা নিয়ে আপোস করার জন্য কিন্তু ওই মহিলা এতে রাজি হননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। তবে পলাতক ওই দুই লম্পটকে গ্রেফতার করতে পুলিশ এবার তৎপর হয়ে উঠেছে। এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও জেলার মহিলা সংগঠন গুলি অভিযুক্ত দুই যুবক আব্দুস সিদ্দিক ও আহাদ উদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে মঙ্গলবার।