অনলাইন ডেস্ক : শিলচর গুরুচরণ কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সবকটি আসনে জয়ী হয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। যদিও অন্য ছাত্র সংগঠন
এন এস ইউ আইর পক্ষ থেকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে, বাস্তবে নৈতিক পরাজয় ঘটেছে এবিভিপির।
শনিবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এনএস ইউ আইর জেলা সভাপতি জন্মজয় চৌধুরী ও অন্য কর্মকর্তা সৌরভ দাসরা বলেন, আগে থেকেই নিয়ম বিরুদ্ধ কার্যকলাপ দেখে তারা নির্বাচন বয়কট করেছেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় ৮২ শতাংশ পড়ুয়া, ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মাত্র ১৮’৯২ শতাংশ পড়ুয়া, এরমধ্যেও আবার নোটায় ভোট পড়েছে প্রচুর। এই অবস্থায় জয় নিয়ে এবিভিপির উৎফুল্লিত হওয়ার কোনও যুক্তি নেই। কারণ এন এস ইউ আইর আহবানে প্রায় ৮২ শতাংশ পড়ুয়ার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকাটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে আসল চিত্রটা কি।
জন্মজয়রা বলেন, তারা নির্বাচনী লড়াই থেকে দূরে সরে থেকেছেন কারণ, শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিল লিংডো কমিশনের কোনও গাইডলাইনই মানছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ। আসলে শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ককে খুশি করতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ সব নিয়ম ভেঙ্গে এবিভিপির জয়ের পথ প্রশস্ত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করেছেন বিধায়কের তাবেদার হিসেবে। তাই ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রবর্তন করা হয় এক রহস্যজনক সফটওয়্যার। যা ভারতের অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়নি কখনোই। এসব অনুধাবন করে সুস্থ গনতন্ত্রের পক্ষে থাকা সিংহভাগ পড়ুয়া এন এস ইউ আইর আহবানে সাড়া দিয়ে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন।
তারা এও বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে যা করেছেন তা ছেলে খেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বিশেষত স্নাতক শেষ সেমিস্টারের পড়ুয়াদের নির্বাচনে লড়ার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তা চূড়ান্ত হাস্যকর। এবার যিনি সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন তিনি সেই চূড়ান্ত সেমিস্টারের পড়ুয়া। আগামী জুন মাসেই হবে তার চূড়ান্ত পরীক্ষা। এরপর তো আর তিনি কলেজের পড়ুয়া থাকবেন না। তখন ইউনিয়নের কি হবে, তবে কি ধরে নিতে হবে ইউনিয়ন গড়া হয়েছে এই এক-দুই মাসের জন্য। শুধু তা-ই নয়, যারা উচ্চ মাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষের যারা পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছে তাদেরও ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এরা তো আর বর্তমানে কলেজের পড়ুয়া নয়।
জন্মজয়রা জানান গোটা বিষয়টা তুলে ধরে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত সুস্থ গণতন্ত্রকে বজায় রাখতে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের পক্ষে রায় দেবে বলেই আশা করছেন তারা।