অনলাইন ডেস্ক : জল জীবন মিশন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ভাঙ্গার নয়াপাতন গ্রামের ১০টি পরিবার ওই পরিবারগুলোকে ভাঙ্গার মাছলি পানীয়জল সরবরাহ প্রকল্প থেকে জল না দিয়ে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই প্রকল্পের অধীন প্রতিটি এলাকায় পাইপলাইন বসানো হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে ঘরে জলের সংযোগও দেওয়া হয়েছে। শুধু এই ১০টি পরিবারে সংযোগ দেওয়া হয়নি।অজুহাত দেখানো হয়েছে এই প্রকল্প থেকে সংযোগ দেওয়া হলে নাকি জলের গতি কম থাকবে।অথচ এই বাড়িগুলোর আশপাশের যেসব বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তারা যথারীতি জল পাচ্ছেন। বঞ্চিত পরিবারগুলোর সদস্যদের অভিযোগ মতে,বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদার এই বাড়িগুলোতে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য বড় অংকের টাকা দাবি করেছিলেন। তারা বলেছিলেন,ব্যক্তিগত খরচে সংযোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে নয়াপাতন গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক সমাজসেবী দীপ্তিভূষণ দেব জানান,তার বাড়ির সামনে পর্যন্ত পাইপলাইন বসানো হয়েছে। তবে বাড়িতে সংযোগ দিতে নগদ অর্থ দাবি করা হচ্ছে। নয়াপাতন গ্রামের তাপস মালাকার,সুশান্ত মালাকার,প্রশান্ত মালাকার, সন্তোষ মালাকার,নৃপেন্দ্র মালাকার,কুন্তল মালাকার সহ ভুক্তভোগী লোকেরা জানান,তাদের কাছে গৃহ সংযোগের জন্য বাইশ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। আসল বিষয় হলো তারা টাকা দিতে না পারায় সংযোগ দেওয়া হয়নি। তবে বাহানা হিসেবে বলা হচ্ছে মাছলি প্রকল্প থেকে তাদের সংযোগ দিলে তারা প্রয়োজনীয় জল পাবেন না।তাদের প্রশ্ন হচ্ছে,পুরো গ্রামে যদি সংযোগ হয়ে যায় তাহলে মধ্যে এই দশটি পরিবারকে কেন বঞ্চিত করা হলো।তাদের কেন রসুলপুর প্রকল্প থেকে সংযোগ দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।গোটা গ্রাম যদি একটি প্রকল্প থেকে জল পায় তবে মাত্র দশটি পরিবারকে কেন বঞ্চিত রাখা হয়েছে এই প্রশ্ন তুলে দীপ্তিভূষণ দেব বলেন,প্রয়োজনে যাবতীয় তথ্য সহকারে অভিযোগ নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।