অনলাইন ডেস্ক : চেন্নাইয়ে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল বরাকের এক পরিবার। বরাক উপত্যকার চার এবং এক বছর বয়সী দুই শিশুকে গলা টিপে হত্যা ও তাদের মাকে ছুরিকাঘাত করে পালালো দুষ্কৃতিরা। জানা গেছে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে পেটের তাগিদে চেন্নাইয়ে এক বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিল করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি কেন্দ্রের কেকড়াগোল চা বাগানের যুবক দ্বারিকা ভর। স্ত্রী সুমিতা ভর পুত্র শিবা ভর (৪ বছর) ও কন্যা রিমা ভর
(২ বছর) কে নিয়ে শোলাভারমের ইরুলিপাট্টুতে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল দ্বারিকা ভর।
মঙ্গলবার রাতে, দ্বারিকা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন যে বাড়িটি তালাবন্ধ এবং তার স্ত্রী ফোনে সাড়া দিচ্ছে না।প্রতিবেশীদের ও জানা ছিল না যে তার স্ত্রী ও সন্তান কোথায়। এতে সে সহকর্মী বন্ধু বিহারের নাগরিক গুড্ডু সাহানি কে ফোন করায় তার ফোন ও স্যুইচ অফ ছিল। ফলে দ্বারিকা ছুটে যায় বন্ধু গুড্ডু সাহানির শোলাভারমের জগনাথপুরমের ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানে গুড্ডুর ভাড়া ঘরের দরজা তালাবন্ধ থাকায় জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে গুড্ডূর ভাড়াটে ঘরের ভেতরে দ্বারিকার দুই শিশু সন্তানের মৃতদেহ ও স্ত্রী সুমিতা ভরের রক্তাক্ত অচেতন দেহ সে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর করে
শোলাভরাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি ছুরিকাঘাতে অচেতন সুমিতাকে দ্রুত তিরুভাল্লুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সুমিতা। পুলিশের ধারণা অবৈধ প্রেম প্রত্যাখান করায় বন্ধুর স্ত্রীর পেটে ছুরিকাঘাত করার পর তার দুই শিশু সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত গুড্ডূ সাহানি। চেন্নাই রেড হিলসের ডেপুটি কমিশনার এন মনিভান্নান এ প্রতিবেদককে জানান সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের তিনটি বিশেষ দল গঠন করে অভিযান শুরু করেছে। গুড্ডুকে গ্রেফতার করার পরই হত্যার আসল উদ্দেশ্য জানা যাবে। তবে সুমিতা দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে গুড্ডুর বাড়িতে কেন গিয়েছিলেন সেটা কিন্তু এখনও স্পষ্ট হয়নি।