অনলাইন ডেস্ক : যুবতীর সঙ্গে বলপূর্বক যৌনলালসা চরিতার্থ করেই ক্ষান্ত থাকেনি দুষ্কৃতিকারীরা। পুরো ঘটনার ভিডিও বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এক অজানা কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমল মাহাতোর দ্বারস্থ হয়েছেন যৌন নির্যাতনের শিকার বেগম পদবীর ওই যুবতী। দুই অভিযুক্ত চেংদোয়ার প্রথম খণ্ড গ্রামের মদিন মিয়ার ছেলে নুর হোসেন ও নাসির উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে অভিযুক্তদের শীঘ্রই পাকড়াও করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
চেংদোয়ার প্রথম খণ্ড গ্রামের ৬৭ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে গত ৬ জানুয়ারি। পরদিন অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ চৌকিতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত যুবতী। এজাহারের বয়ান মতে বিবাহবিচ্ছেদ হবার পর ওই যুবতী চেংদোয়ার প্রথম খণ্ড গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। যুবতীটি স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হেল্পার হিসেবে কাজ করে কোনওমতে জীবীকা নির্বাহ করেন। যুবতীর দাবি, কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে অভিযুক্তরা তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এমনকি বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব পর্যন্ত দিত। সম্মানহানির কথা ভেবে তিনি মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন সব সীমা অতিক্রম করে অভিযুক্তরা। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে যুবতীকে তারা টেনেহিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা যুবতীর চরম শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। কিন্তু যুবতীর আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে বলীয়ান অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। যে কারণে বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবতী ও তার পরিবারের সদস্যরা।