অনলাইন ডেস্ক : বদরপুর শিক্ষাখণ্ডের অধীন ৫১২ নং চিনিপাতন এলপি স্কুলে অবাধে চলছে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ।এই অভিযোগ এলাকার অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের।গুণোৎসবের পর থেকে স্কুলে বন্ধ মিড ডে মিল। অভিভাবকরা জানান,প্রধান শিক্ষক মইন উদ্দিন সরকারি নিয়মনীতির কোনও তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো স্কুল চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রধান শিক্ষকের বাড়ি স্কুলের পাশেই।একই গ্রামে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি স্কুলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন।যখন ইচ্ছে হয় তখন স্কুলে আসেন তিনি।গ্রামের মানুষ জানান,ওই স্কুলে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন।কিন্তু স্কুলে উপস্থিত হন মাত্র ৩ জন।এতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় সীমাহীন ক্ষতি হচ্ছে।স্কুলের খাতায় ২৭৬ জন ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তবে স্কুলে শিক্ষাদান ভালো না হওয়ার জন্য শতাধিক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছেন।কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রছাত্রীদের নাম এখনও স্কুলের খাতা থেকে কাটেননি। অন্যদিকে স্কুল মেরামতের জন্য আসা টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেন,বিভাগীয় বিইইও বেশ কয়েকবার স্কুল পরিদর্শন করেন এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাদান করার জন্য প্রধান শিক্ষককে আদেশ দেন।কিন্তু প্রধান শিক্ষক এই আদেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেখুশি স্কুল পরিচালনা করছেন।তারা আরও বলেন,প্রধান শিক্ষকের যখন ইচ্ছে হয় তখন স্কুল বন্ধ দেন।প্রধান শিক্ষক শিক্ষকদের উপস্থিতি খাতা ঘরে নিয়ে রেখে দেন।পরে বোঝাপড়ার মাধ্যমে অনুপস্থিত শিক্ষকদেরও সাক্ষর হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন সমাজসেবী মুজিবুর রহমান সহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।এ নিয়ে এলাকাবাসী উপযুক্ত তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।