অনলাইন ডেস্ক : কিছু একটা করার ইচ্ছে, আর কিছু নয়। মনের অদম্য শক্তিকে হাতিয়ার করে আজ সংবাদ শিরোনামে শালগঙ্গার মেয়ে মৌ দাস। চিড়ার মধ্যে ৩০টি দেশের জাতীয় পতাকা এঁকে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলেছে মৌ । তাঁর বাবা শালগঙ্গা পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী কামেন্দ্র দাস। মা শিলা দাস গৃহবধূ। নিজের এই কৃতিত্বের অংশীদারিত্ব বাবা মাকে দিয়েছে মৌ। তার স্বপ্ন সুরলাহড়ি আর্ট অ্যান্ড কালচারাল মিশন নামের নিজের হাতে তৈরী একটি আর্ট স্কুল আছে এই স্কুলটিকে ভবিষ্যতে আর উন্নত করে গড়ে তুলে নবপ্রজন্মকে নুতন দিশা দেখানোর। সেইসঙ্গে এশিয়া বুক অব রেকর্ড ও ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার স্বপ্ন আছে মৌ- র।
এছাড়াও কুম্ভায় গিয়ে আর্টের ক্লাস করান মৌ। আর্টের পাশাপাশি নাচতেও ভালবাসে।
মৌ দাস আরো বলেন সে শালগঙ্গা মর্লীহাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে জগন্নাথ সিং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তাঁর কথায়, আমাকে স্বামী বিবেকান্দের “প্রবল ইচ্ছা শক্তি কার্যের জনক” এই বানীটি সবসময় উৎসাহ যোগায়। আর সেই ইচ্ছা শক্তি থাকার জন্যই কোন ও বাঁধা তাঁকে আটকাতে পারে নি। সেই সঙ্গে ছোট বেলা থেকে মা বাবা ছোট ভাই সহ আত্নীয় পরিজনদের উৎসাহ ও প্রেরনা তাঁকে শীর্ষে পৌছিয়েছে। ছোট বেলা শিশুদের মনে অনেক ভাবনা আসে ।কেউ খেলাধূলা কেউ গান বা আবৃত্তি করে। তিনি সেই দিখে না গিয়ে তার ছোট বেলা থেকে ছবি আঁকার শখ ছিল। ছবি আঁকার প্রতি মনযোগ দেখে বাবা মা বারো বছর বয়সে শালগঙ্গা মর্লী হাইস্কুলে থাকা আর্টের স্কুলে ভর্তী করান। আর্ট গুরু উৎপল আচার্যের কাছ থেকে হাতে কড়ি মৌয়ের। তিনি আরো বলেন অনেকেই দেখেছি ভিন্নভাবে ছবি এঁকে অভিনত্ব আনছেন। আমার ও মনে ভাবনা ছিল কিছু একটা করে দেখানোর। একদিন ঘরে বসে চিড়া খেতে খেতে মনে ভাবনা আসে এই চিড়ার মধ্যে যদি কিছু একটা করা যায়। তাই চিড়ার মধ্যে ভারত, ইউক্রেন ,জাপান, অষ্টিয়া,জার্মানি, ফ্রান্স,ইটালি, রাশিয়া, নেদারলেন্ড, পোলান্ড, নাইজার, কুয়েত, পালাও, পেরু, পানামা, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, ইংল্যাণ্ড, জামাইকা, নরওয়ে, সুইজারল্যাণ্ড, সেনেগাল, রিপাবলিক অব আয়ারলেন্ড, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, সুইডেন,চিন, সিয়েবা লিওন, রিপাবলিক অব কঙ্গো ও বেনিন এই ত্রিশ দেশের জাতীয় পতাকা এঁকেছেন সঙ্গে একটি চিড়ার মধ্যে শিবের লিঙ্গ ও আর্ট করেছেন। একটা জাতীয় পতাকা আঁকতে সময় লেগেছে ৩০সেকেন্ড। গত ২রা অক্টোবর ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কতৃপক্ষের কাছে মেইল এ আবেদন করেছিলেন এবং ১৪অক্টোবর মহালয়ার দিনেই তার কাছে খবর আসে যে এই অভিনব আঁকাকে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কতৃপক্ষ বাছাই করেছে পুরস্কারের জন্য। এই সম্মাননা পেয়ে তাঁর অনুভুতির কথা বলতে গিয়ে মৌ বলেন সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কারন এত অল্প সময়ে এই ধরনের সম্মান পাবেন তা আশাতীত ছিল। সব কিছু ভগবান ও মা বাবা গুরুজনদের আর্শীবাদের জন্যই এই সাফল্য এসেছে জীবনে। আগামীতে তিনি আরও অনেক বড় কৃতিত্বের অধিকারী হতে চান বলে জানান মৌ দাস।