অনলাইন ডেস্ক : ফের কালাইনের অদুরর্বীতি গুমড়ায় জাতীয় সড়ক রক্তাক্ত হল। মঙ্গলবার ভর দুপুরে বেপরোয়া গতিতে এক লরি চালকের চাকায় পৃষ্ট হল এক স্কুল ছাত্রী। আহত আরো দুই ছাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় ৩ ঘন্ঠা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বসেন উত্তেজিত জনতা। শেষে স্থানীয় ম্যাজেষ্টেটের উপস্থিতিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কালাইনের গুমড়ায় সংগঠিত হয়। জানা গেছে গুমড়া পাবলিক এমই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত তিন ছাত্রী সুহানিয়া পারভিন বড়ভুইয়া,তাহামিদা আন্তারা লস্কর ও সুফিয়া বেগম চৌধুরী সকাল-বিকেল ছিল পরীক্ষা, সকালে ইংরেজি বিষয় পরীক্ষা, বিকেলে আসামিস পরীক্ষা শেষে রাস্তার বাম পাশ দিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ী ফিরছিল। স্কুল থেকে ৪০০ মিটার দুর যাওয়ার পরই বিপরিত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা সিলিন্ডার বোঝাই এক লরির ধাক্কায় পৃষ্ট হয় সুহানিয়া । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। মারাত্বক জখম হয় সুফিয়া ও তাহামিদা। সঙ্গে সঙ্গে জখমীদের কালাইন সি এইচ সিতে পাঠানো হয়। আটক করা হয় ঘাতক গাড়ী চালক কে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই অরবোধ করে বসেন প্রতিবাদীরা জাতীয় সড়ক। প্রথমে গুমড়া পুলিশ ও পরে কালাইন থানা আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে।
অবরোধ উঠিয়ে দিতে পুলিশ বাহিনীর হাজারো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ও বরফ গলাতে পারেনি প্রশাসনের কর্তারা। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত হয়ে জাতীয় সড়ক ধরে নিয়ন্ত্রন গাড়ী চালনার লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি সহ হত ও জখমী দুই স্কুল ছাত্রীর সরকারী আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবীতে অনড় থাকে অবরোধ কারীরা। শেষে কাটিগড়া থেকে ছুটে যেতে হয় ম্যাজেস্টেট অন্তরা পাল কে। তার ও অনুরোধ কাজে না আসায় তার নির্দেশে এক প্রকার জোর করেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এমন অভিযোগ অবরোধকারী ক্ষুব্ধ জনতার। চাপের মুখে পড়ে অবরোধ তুলে নিতে হয় অবরোধকারীরা। নিরুপায় হয়ে অবরোধ তুলে নিলেও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে গুমড়ায় ।জনগনের বক্তব্য হল, হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের এমন ব্যবহার মোটেই কাম্য নয়। বেসামাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যে অবরোধকারীরা মুক্ত করে দেন।