অনলাইন ডেস্ক : রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করিমগঞ্জ জেলায় শুরু হয়েছে বুধবার থেকে গুণোৎসব। বদরপুর শহরতলী তথা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বদরপুরের ঐতিহ্যবাহী শাহ বদরুদ্দিন হাইস্কুল,দেওরাইল স্কুল (এ), ১১২৫ নয়াগ্রাম স্কুল,দরুটি এলপি স্কুল ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ১১১০জন ছাত্রছাত্রী গুণোৎসব পরীক্ষায় বসে।এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে শাহ বদরউদ্দিন হাইস্কুলে। এই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৪২৮জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ১০০% এর উপস্থিতিতে দু’দিনের গুণোৎসব সম্পন্ন হয়। প্রথম দিন ছিল ইন্টারনাল পরীক্ষা।এই পরীক্ষার সূচনা করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডঃ শাকিল আহমদ। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতায় ছিলেন পরিচালনা কমিটির উপ সভাপতি বদরুল হক আলিমুদ্দিন,আব্দুল গফফার,আব্দুল শুক্কুর,সিআরসিসি সাব্বির আহমদ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাসিত সদিয়ল,গুণোৎসবের প্রধান আজির উদ্দিন,জাহির আব্বাস বড়লস্কর,জাসমিনা আলম,গৌতম চন্দ্র,মন্দিরা দাস,বদরুল ইসলাম,ইসলাম উদ্দিন,পিয়ারা আখতার,জহুরা বেগম,মুজাক্কির হোসেন প্রমুখ। যথারীতি দ্বিতীয় দিনের গুণোৎসবের বাহ্যিক মূল্যায়নকারী হিসেবে ছিলেন কাছাড় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. এ পুষ্পলতা সিং। তিনি যথারীতি সকাল ৮-৩০ মিনিটে এসে স্কুলে উপস্থিত হন। সকাল ৯টায় স্কুলের সকালের সমাবেশ শুরু হয়। এতে তিনি ছাড়াও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাকিল আহমদ, উপ সভাপতি বদরুল হক আলিমুদ্দিন,স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিন,উমরপুর জিপির সিআরসিসি খাজাম উদ্দিন প্রমুখ। শুরুতে সবাইকে বরণ করা হয় স্কুলের পক্ষ থেকে। এরপর শুরু হয় পরীক্ষার প্রস্তুতি। স্কুলের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন বাহ্যিক মূল্যায়নকারী এ পুষ্পলতা সিং। তিনি স্কুলের নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন।স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৪২৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।সব ছাত্রছাত্রীই এদিন পরীক্ষায় বসে।গুণোৎসবকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় স্কুলে। যদিও স্কুল থেকে ন’জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অন্য স্কুলের গুণোৎসবের পরীক্ষার ডিউটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য স্কুল থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষা নেন। তবু ছাত্রছাত্রীরা প্রবল উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষায় বসে। এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন মালুয়া-শ্রীগৌরী জেলা পরিষদ সদস্য এনাম উদ্দিন,উমরপুর জিপি সভাপতি আসুক উদ্দিন,শিক্ষাবিদ আতাউর রহমান,আব্দুল হাই,প্রাক্তন উমরপুর জিপির সভানেত্রীর প্রতিনিধি আসাদ উদ্দিন সহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা বলেন,বদরপুরের একটি সরকারি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল শাহ বদরুদ্দিন হাইস্কুল। ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন থেকে শুরু করে কোনও ক্ষেত্রেই এই স্কুল পিছিয়ে নেই। স্কুলটি বদরপুরের অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মত ব্যক্ত করেন তারা।তাদের মতে, স্কুলে বর্তমানে কয়েকটি শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। সরকারি তরফে শীঘ্র পদগুলি পূরণ করার দাবি জানান তারা।