অনলাইন ডেস্ক : অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য সহ শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তমাল কান্তি বণিকরা জানান, ২ ফেব্রুয়ারি ধলাইর ভাগা এলাকা থেকে শুরু হবে হাত সে হাত জড়ো যাত্রা। এরপর পর্যায়ক্রমে ৩ ফেব্রুয়ারি উধারবন্দ, ৪ ফেব্রুয়ারি বড়খলা, ৫ ফেব্রুয়ারি কাটিগড়া, ৬ ফেব্রুয়ারি সোনাই এবং ৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রা হবে লক্ষীপুর বিধানসভা এলাকায়। তারা আরও জানান, এসবের পর যাত্রা হবে করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলায়। করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে যাত্রা পর্ব শেষ হওয়ার পর হবে শিলচর বিধানসভা এলাকায়। এ নিয়ে তমালবাবুরা জানান, শিলচর বিধানসভা এলাকায় যাত্রাকে ঘিরে বিশেষ কার্যসূচী হাতে নেবার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই প্রদেশ কংগ্রেস এবং নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অনুমতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দির পর শিলচর বিধানসভা এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে এই যাত্রা।
২ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাছাড়ের ধলাই, উধারবন্দ, বড়খলা, কাটিগড়া সোনাই এবং লক্ষ্মীপুরে যাত্রাপর্বে পর্যায়ক্রমে অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির কর্মকর্তা জিতেন্দ্র সিং, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ভূপেন বরা থেকে ধরে সাংসদ গৌরব গগৈ, দেবব্রত শইকিয়া, রঞ্জিত রঞ্জন, জাকির হোসেন সরকার ও মীরা বরঠাকুররা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন অপূর্ব ভট্টাচার্য।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার আসলে ভাষণ ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সরকার। এই সরকারের আমলে বরাক উপত্যকা সহ গোটা দেশ দুর্নীতির ভূ-স্বর্গে পরিণত হয়েছে। নিযুক্তি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বরাক উপত্যকা নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হলেও শাসক দলের স্থানীয় নেতারা এ নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব। আসলে তারা সিন্ডিকেট নিয়ে ব্যস্ত, এসব নিয়ে কথা বলার তাদের কোনও সময় নেই।
কংগ্রেস এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিলচর গান্ধী মেলায় বিনোদনের উপকরণ বসানোকে ঘিরে যা চলে আসছে সেদিকেও কংগ্রেসের অবশ্যই নজর রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এই দুর্নীতির কথাও তুলে ধরা হবে জনগণের কাছে।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অরুণ দত্ত মজুমদার, শরিফুজ্জামান লস্কর, কিশোর ভট্টাচার্য, সুজন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, আজমল হোসেন, নিশিকান্ত সরকার, অভিজিৎ ধর, বিদ্যাবতী রবিদাস ও সুশান্ত রায় প্রমূখ।