অনলাইন ডেস্ক : বড় বড় প্রচার সভা তো হবে অবশ্যই, আসছেন দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিও । তবে শিলচরে নির্বাচনী প্রচারে মানুষের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ।
রবিবার প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাসকে নিয়ে শিলচর শহরের সেন্ট্রাল রোড ও নাজিরপট্টি এলাকায় প্রচারে বের হন দলের নেত্রী রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ অন্যান্যরা। রাস্তার পাশে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে এবং যে কিছু দোকান খোলা ছিল, সেসব দোকানে ঢুকে তারা প্রচার চালান। প্রচার বলতে স্রেফ হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা নয়। বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচার চালাতে গিয়ে, অনেকটাই পাশের বাড়ির লোকের মতো তাদের বিভিন্ন সমস্যাবলী নিয়ে মেতে উঠেন গালগল্পে। আর গল্পের সূত্র ধরেই তাদের কাছে তুলে ধরেন বিজেপি সরকারের সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক কথাবার্তা। প্রচারের মাঝে এক দোকানে থেমে সুস্মিতাদের মাটির ভাড়ে চায়ের স্বাদ নিতেও দেখা যায়।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ ধরনের প্রচার নিয়ে সুস্মিতা বলেন, দুটি লোকসভা নির্বাচন এবং একটি বিধানসভা নির্বাচন সহ পুরনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার নিজের। সেসব নির্বাচন থেকে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে, যতই বড় বড় সভা সমিতি হোক না কেন, দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রচারের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। এভাবে ভোটারদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাদের যতটুকু বুঝানো সম্ভব হয়, বড় বড় সভা করেও সম্ভব হয় না ততটুকু।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকারের নীতির দরুন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হয়েছে। এদিন গালগল্প করে প্রচারের সময় ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন একথাই। তার কথায় এই যে বিজেপি জিএসটি চালু করেছে, এতে একাউন্টেন্টের কাছে দৌড়াতে দৌড়াতেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাভের প্রায় সবটুকুই চলে যাচ্ছে। এছাড়া বিজেপি জমানায় যেভাবে কর্মহীন লোকের সংখ্যা বাড়ছে, এতেও প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়।
নিম্ন মধ্যবিত্তরা কেনাকাটার জন্য কর্পোরেট সংস্থার শোরুমে যান না বা যেতে পারেন না। এরা যান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছেই। আর এই নিম্নমধ্যবিত্ত সিংহভাগ বর্তমানে রয়েছেন কর্মহীন হয়ে। যার প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়।
রাধেশ্যাম বিশ্বাস বলেন, প্রচারে গিয়ে তারা কেন বিজেপিকে পরিবর্তন করা জরুরি একথাই ভোটারদের বুঝিয়ে বলছেন। তিনি বলেন, দলের নেত্রী সুস্মিতা দেব রয়েছেন রাজ্যসভায়। সঙ্গে তাকে লোকসভায় পাঠানো হলে, দুজন দিল্লিতে এঅঞ্চলের সমস্যাবলী নিয়ে জোর গলায় সরব হবেন।
দলের জেলা সভাপতি রাজেশ দেব বলেন, প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাসের হয়ে প্রচারে আসবেন দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। আগামী ১৭ এপ্রিল শিলচরেই হবে তার সভা। এছাড়া শিলচর লোকসভা এলাকার প্রতিটি ব্লকে হবে কমপক্ষে একটি করে বড় ধরনের সভা। এসব সভা হলেও তারা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রচারে। কারণ এভাবেই ভোটারদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি একাত্ব হওয়া সম্ভব।