অনলাইন ডেস্ক : জামিনের আবেদন জানিয়ে অনশনে বসা কয়েদি দের মধ্যে ৯ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি । এদের তড়িঘড়ি করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এদিকে প্রতিবাদী কয়েদি দের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষের তরফে একাধিক বার আবেদন জানানো হয়েছে । ইতিমধ্যে অতিরিক্ত জেলা শাসক কয়েদি দের সঙ্গে দেখা করে তাদের কে অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন ।
জামিনের আবেদন জানিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে জেলের ভেতরে আন্দোলন আরম্ভ করেছে ১২২ জন কয়েদি । মূলত নেশাদ্রব্য পাচার ও ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়েছিল । পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায় । পরবর্তীতে এসব কয়েদি বা তাদের পরিবারের লোকরা আদালতের কাছে জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানায় । কিন্তু আদালত থেকে তাদের জামিন দেয়া হয়নি । তাদের অভিযোগ অনুযায়ী তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদেরকে পুলিশ কেবলমাত্র সন্দেহের বসে আটক করেছিল । কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ নেই পুলিশের কাছে । তথাপি আদালত তাদের জামিন দিচ্ছে না । আবার এদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যাদের এক বছর বা তার অধিক বছরের সময় সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে । কিন্তু আদালতের ঘেরাটোপে জামিন জুটে নি তাদের কপালে । আদালতের নির্দিষ্ট তারিখে উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য লিখিত আবেদন জানালেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি । ফলে অনশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানতে শুরু করেছে তারা। এদিকে বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত জেলা শাসক রিন্টু বোরো ছুটে যান কারাগারে । কয়েদি দের সমস্যার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাদের আশ্বাস দেন যে তাদের দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি তুলে ধরবেন । তারা যেন অনশন তুলে নেয় । কিন্তু এতে সায় দেয় নি প্রতিবাদকারী ১২২ জন কয়েদি। জামিন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেয় তারা। এদিকে দুদিনের অনশনের ফলে তাদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। এরমধ্যে ৯ জনের শারীরিক অবস্থা বেশি অবনতি হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে কড়া পাহারায় তাদের চিকিৎসা চলছে ।