নয়াদিল্লি, ২৯ আগস্ট : ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) এবং সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। রবিবার গান্ধীনগরের ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (এনএফএসইউ) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন স্নাতক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছয় বছরেরও বেশি শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য ফরেনসিক তদন্তকে ‘বাধ্যতামূলক এবং আইনি’ করার লক্ষ্য সরকারের।সরকার প্রতিটি জেলায় ফরেনসিক তদন্তের সুবিধা দেবে।তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় একটি ফরেনসিক মোবাইল তদন্ত পরিষেবা প্রদান করবে এবং তদন্তের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে একটি আইনি কাঠামো তৈরি করবে।
কেন্দ্রীয় সরকার আইপিসি এবং সিআরপিসি-তে পরিবর্তন আনতে চলেছে। একথা জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) এবং সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন আনতে চলেছে। কারণ, স্বাধীনতার পর ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই আইনগুলো দেখা হয়নি। এসব আইন পরিবর্তনের জন্য পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে স্বীকারোক্তি বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘থার্ড ডিগ্রি’ প্রযোগ করা উচিত নয়। কারণ তারা আমাদেরই মানুষ। এর চেয়ে ফরেনসিক সায়েন্স সাক্ষ্যের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার বাড়াতে হবে। এ জন্য দেশে প্রশিক্ষিত জনবল লাগবে। এনএফএসইউ তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে অসমে এনএফএসইউ ক্যাম্পাস শুরু করেছে। অসম ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, ত্রিপুরা এবং মণিপুরের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে তার ক্যাম্পাস শুরু হয়েছে। পুনে (মহারাষ্ট্রে) এবং কর্ণাটকে এটি স্থাপনের জন্য আলোচনা চলছে। এর পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরেনসিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) শক্তিশালী করার জন্য কাজ করেছে। পুনে, গুয়াহাটি, ভোপাল এবং কলকাতার সিএফএসএলগুলিকে উন্নত করা হচ্ছে। শাহ জানান, ৭০ টিরও বেশি দেশ এবং অনেক সংস্থার শিক্ষার্থীরা এনএফএসইউ-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যা পুলিশ, বিচার বিভাগ, অফিসারদের মতো ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৮,০০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।