শিলং, ১৩ ডিসেম্বর : গত ২২ নভেম্বর অসম-মেঘালয় সীমান্তবর্তী পশ্চিম কারবি আংলং জেলার মুক্রু গ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত পাঁচজনের নিকট-আত্মীয়ের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন তৃণমূল-প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী মমতার সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘালয় প্রদেশ তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মানস ভুইয়াঁ, মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা, তৃণমূলের প্রদেশ সভাপতি চার্লস পাইনগ্রোপ প্রমুখ।
মঙ্গলবার নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ইউ সোসো থাম অডিটোরিয়ামে দলীয় কর্মী সম্মেলনে যাওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদেশ নেতাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। তিনি স্বজনহারাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে সহমর্মিতা জানিয়ে নিহতদের নিকট-আত্মীয়ের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানবিকতার স্বার্থে স্বজনহারা পরিবারগুলিকে সামান্য আর্থিক সাহায্য করেছেন তিনি। ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকারের পুলিশ যেভাবে নির্দোষ গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাঁচ-পাঁচটি প্রাণ হরণ এবং দুজনকে ঘায়েল করেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা অতি মর্মান্তিক।’ মমতা বলেন, ‘এখানে এসে যে সম্মান পাচ্ছি, তাতে আমি আপ্লুত। মেঘালয়ে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে ভবিষ্যত দিনগুলিতে মেঘালয় দ্রুতগতিতে অগ্রসর হবে।’
এদিন আচমকাই গাড়ি থেকে নেমে মমতা মিশে যান তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা খাসি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে। গলায় ঝুলিয়ে নেন ঢোলক। সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশিত খাসি উপজাতি গানের সঙ্গে তিনি পরম্পরাগত ঢোলকে কাঠি মারতে থাকেন। সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশন দেখতে জমায়েত হয়েছিল ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভিড়ে জমায়েত কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কিছু কথাবার্তাও করেছেন। বিনিময় করেছেন প্রাক-ক্রিসমাস কুশল বিনিময়। এর পর সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান ইউ সোসো থাম অডিটোরিয়ামে দলীয় কর্মী সম্মেলনে। (সংবাদ সংস্থা)