অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে সম্পূর্ণ যক্ষামুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তা সফল করে তুলতে সারা দেশের সঙ্গে অসমেও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের প্রাথমিক,মাধ্যমিক এবং তৃতীয় স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলিতে যক্ষা বিজ্ঞপ্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যক্ষারোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যাপারে একেবারে প্রাথমিকস্তরে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যক্ষারোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালগুলিতে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। যক্ষা রোগের সাম্প্রতিক চিকিৎসা পদ্ধতি বিনামূল্যে প্রদান করার জন্য গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টারমিডিয়েট রেফারেন্স লেবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যাতে প্রাথমিকভাবে যক্ষা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে পারেন রোগীরা।
এদিকে, জাতীয় যক্ষা নিমূল কর্মসূচি রূপায়নের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেডিকেল কলেজগুলির জোনাল টাক্স ফোর্স সভা ২৯ মে অনুষ্ঠিত হয়।এতে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন অসমের সঞ্চালক ডাঃ এম এস লক্ষ্মীপ্রিয়া। ডাঃ লক্ষ্মীপ্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে যক্ষা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি অসমকে যক্ষা মুক্ত করার ব্যাপারে যক্ষা প্রতিরোধ থেরাপি রূপায়ন করার ব্যাপারে বিশেষভাবে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান,রাজ্যে ২০২১ সালে ৩৮ হাজার ৯৭ জন যক্ষারোগী চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০২২ সালে সে সংখ্যা দাড়ায় ৪৭ হাজার ৯৮৪ জন। ২০২৩ সালে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার যক্ষারোগী চিহ্নিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান।