অনলাইন ডেস্ক : মিজোরামে অমিজো ব্যবসায়ীদের হয়রানির প্রতিবাদে সরব হল বরাক উপত্যকা সংগ্রামী ঐক্য মঞ্চ। বৃহস্পতিবার ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে শিলচর সোনাই রোডে মিজোরাম সার্কিট হাউসের সামনে হয়রানি বন্ধের দাবিতে ধর্না দেওয়া হয়। ধর্না কার্যসূচির পর সার্কিট হাউসে নিযুক্ত মিজোরামের লিয়াসন অফিসারের মাধ্যমে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয় স্মারকপত্র।
এ দিনের প্রতিকী ধর্ণা চলে ১ ঘন্টা। ধর্না চলাকালীন প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূঁইয়া বলেন, এই যে বছর বছর মিজোরামে অমিজো ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়ে থাকে এর স্থায়ী সমাধান জরুরী। এর জন্য মিজোরামের ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) বা এ ধরনের অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে তারা আলোচনায় আগ্রহী বলে জানান তিনি। আতাউর অবশ্য সঙ্গে একথাও বলেন, আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া মানে এই নয় যে ঐক্য মঞ্চ ভয় পেয়েছে। মঞ্চের সদস্যরা কেউ কাপুরুষ নন। প্রয়োজন হলে আন্দোলন কাকে বলে তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।
মঞ্চের অন্য কর্মকর্তা সঞ্জীব রায় বলেন, প্রতিবছর ওয়াই এম এ বা এম জেড পির মতো কিছু সংগঠন মিজোরামে ভাই কার্ফু জারী করে অমিজোদের হয়রানি করে থাকে। এটা যেন ওদের কাছে বাৎসরিক বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে। এসব বন্ধ হওয়া জরুরি। তিনি ওয়াইএমএ ও এমজেডপির মতো সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
একই সুরে বক্তব্য রাখেন সাধন পুরকায়স্থও। তিনি বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে মিজোরামে যেভাবে অমিজোদের হয়রানি করে আসা হচ্ছে এর একটা হেস্তনেস্ত জরুরী। এসব আর চলতে দেওয়া যায় না। এদিনের ধর্নায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিরঞ্জন দত্ত, অতনূ ভট্টাচার্য, কল্পার্নব গুপ্ত, ও লক্ষীকান্ত সিংহ, স্বর্ণালী চৌধুরী, হিল্লোল ভট্টাচার্য, মিলন উদ্দিন লস্কর, আব্দুল হাই লস্কর ও দিলীপ কুমার সিং প্রমুখ।