অনলাইন ডেস্ক : সরকারি কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন কাছাড় জেলা প্রশাসনের বরিষ্ঠ সহায়ক মিলন উদ্দিন লস্কর। সোমবার শেষ কর্মদিবসে প্রশাসনিক কর্মচারী ও আধিকারিকরা সম্মিলিতভাবে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানান। জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত রাজীব রায়ের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিন অতিরিক্ত জেলাশাসক যথাক্রমে পংকজ কুমার ডেকা, মনসুর আহমেদ মজুমদার ও যুবরাজ বরঠাকুর সহ ম্যাজিস্ট্রেট, আধিকারিক ও কর্মচারীরা এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসকের কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী বরিষ্ঠ সহায়ক মিলন উদ্দিন লস্করের কর্মজীবনে নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা ও নিয়মানুবর্তিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন বক্তারা। কাছাড় জেলা প্রশাসনের বরিষ্ঠ সহায়ক তথা জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিক্রমজিৎ চক্রবর্তী মিলন উদ্দিন লস্করের কর্মজীবন এবং সান্নিধ্য নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বরিষ্ঠ সহায়ক প্রবীর কুর্মী, রজত ভট্টাচার্য, সত্যজ্যোতি দেব, সামসুল হক লস্কর, রণজিৎ দেব, তুষার দে, কনিষ্ঠ সহায়ক জয়দীপ নাথ প্রমুখ মিলন উদ্দিন লস্করের কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, সর্বোপরি তিনি সময়ানুবর্তিতার উজ্জ্বল নিদর্শন ছিলেন।
বিদায়ী বরিষ্ঠ সহায়ক মিলন উদ্দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, তিনি ৩২ বছরের কর্মজীবনে জেলাশাসক কার্যালয়ের আধিকারিক সহ সকল স্তরের কর্মচারীদের আন্তরিক স্নেহ-মমতা, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধায় আপ্লুত। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে গেছেন। অবসর জীবনের প্রাক্কালে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান। সভাপতির ভাষণে ডিডিসি রাজীব রায় বলেন, সরকারি কাজ করেও মিলনবাবু সাহিত্য -সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মে যুক্ত ছিলেন। অবসর জীবনে সমাজ তার কাছ থেকে আরও সৃজনশীল কাজকর্ম পাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এই অনুষ্ঠানে সহকর্মীরা বিদায়ী বরিষ্ঠ সহায়ক মিলন উদ্দিন লস্করকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয়, পশমী চাদর, বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন।