অনলাইন ডেস্ক : বিগ ব্রেকিং হল, অবশেষে ফরমেশনের পাশাপাশি জিবির প্রথম বৈঠকটা ‘ সাফল্যের ‘ সঙ্গে সেরে নিয়েছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি!! শাখাগুলিও সম্প্রসারিত হচ্ছে। ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিরও জিগির উঠছে। জেসি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ‘ পাঁজল ‘ – ও এখন নিস্পত্তির পথে। সর্বত্র যেন একটা ‘ আল ইজ ওয়েল ‘ ভাব। কিন্তু সমস্যাটা তো সমস্যাতেই রয়ে গেছে। কারণ সময়ের কাঁটায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন টিম শিবব্রত – অতনু। হাতে যা সময় তাতে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি সহ অন্যান্য খেলাধুলা সম্বলিত ডিএসএর বার্ষিক সূচিটা মার খাবে না তো। এক্ষেত্রে অনিশ্চিত শব্দটা ব্যবহার করতে হয়, কারণ ট্রাকে দৌড়টা যে সময়ের সঙ্গে।
ফুটবলের বিষয় দিয়েই স্টার্ট হোক এপিসোডটা। এপ্রিলে দলবদল। পরবর্তীতে আন্তঃজেলা দলবদল। সব হার্ডল টপকে জুন জুলাইয়ে ফুটবল মরশুম শুরু হওয়ার কথা। বিজিএমের একটা অজুহাত থাকতেই পারে। তারপরও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে পড়েছে বছরের কাঁটা। স্কুল ফুটবল ছাড়া ডিএসএ এখন অবধি কোনও প্রতিযোগিতাই আয়োজন করতে পারেনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর মাঠের যা হালহকিকত তাতে লেগে যেতে পারে আরও এক সপ্তাহ। জিবির সাফল্য সেলিব্রেট করে চললেও ডিএসএর হাতে বকেয়া এখন অনেক কাজ। সুপার ডিভিশন, এ, বি, সি ডিভিশন। সেইসঙ্গে মহিলা ফুটবল। ঘোষণা দিয়েও মহিলা ফুটবলের আসরটাকে সাময়িক পিছিয়ে দিয়েছিলেন সচিব অতনু ভট্টাচাৰ্য। এছাড়াও এআইএফএফ এবং এএফএর একটা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাও করতে হবে শিলচর ডিএসএকে। বি ডিভিশন কিংবা অন্যান্য ছোট আসর ইন্ডিয়া ক্লাব কিংবা শিলচর স্পোর্টিংয়ের মাঠে করে নিলেও মহিলা ফুটবল, এএফএর আসর সহ সুপার ডিভিশন, এ ডিভিশনের আসর তো এস এম দেব স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে হবে। একটা আসরের জন্য কম করেও ১৫ দিনের হিসেব ধরতে হবে। সামনে রয়েছে পুজোর মরশুম। বন্ধের কাটছাঁটের হিসেব ধরলে অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই ফুটবল মরশুমে ডিএসএর ফুলস্টপ লাগানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এরউপর আবার সচিব অতনু ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ঐতিহ্যবাহী ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফি আয়োজনের। সব ঠিকঠাক থাকলে ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফি হবে ডিসেম্বর -জানুয়ারিতে। কুলীনতার নিরিখে এই আসরগুলির হাইপ্রোফাইল ডেট বুক থাকবে এস এম দেব স্টেডিয়ামের জন্যই।
তাহলে ফুটবলের সঙ্গে ক্রিকেট মরশুমের ক্ল্যশ হওয়াটা স্বাভাবিক। ফুটবলে শিলচর স্পোর্টিংকে কাজে লাগালেও ক্রিকেটে এস এম দেব স্টেডিয়াম ব্যতিত ইন্ডিয়া ক্লাব ছাড়া দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই ডিএসএর হাতে। টাউন ক্লাব সাজানো হয়েছে এক্স পো মেলার জন্য। নরসিং স্কুলের মাঠটাও তাই। উদয়ন সংঘের দখলদারি এখন এক ঠিকাদারের। ইটখোলা মাঠে ফুটবল কোচিং চললেও ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের অবস্থাতে নেই। ফলে বিকল্প বলতে এই ইন্ডিয়া ক্লাবই। সেখানে গত কয়েক মরশুম ধরে বি এবং সি ডিভিশন আয়োজন করে চলেছে ডিএসএ। তবে শিলচরের ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমটা বেশ দীর্ঘ।দু দিনের, একদিনের, নকআউট সহ এসিএর জোনাল আসরগুলি আয়োজনেরও দায়িত্ব এসে পড়ে এস এম দেব স্টেডিয়ামের কাঁধেই। এতসব হিসেব নিকেশ মেটাতে মেটাতে শীত পেরিয়ে বৃষ্টির আগমন ঘটে যায়। এরপর তো যা হওয়ার হয়। কভার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, বিরক্তিকর একটা পরিস্থিতি। এর পাশাপাশি হকি। হোক না কম ম্যাচ। হকি লীগেরও কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করতে হয়।
সবমিলিয়ে গোলমেলে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর ডিএসএর কমিটির যা অবস্থা, তাতে লাগাম হাতে টেনে রাখতে রাতদিন এক করতে হবে। কেননা রাঙ্কিং টিটি করেই সংস্থার অন্দরে একটা বিশৃঙ্খলার পরিবেশ। আসাম রাঙ্কিং টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর একমাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। এই সময়ের মধ্যে আসরে মোট কত খরচ সেটা যেমন বলতে পারছেন না শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অতনু ভট্টাচার্য, তেমনি আসরে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা নিয়ে তিনি অন্ধকারেই। অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের যে সংখ্যাটা তিনি জানেন, তারচেয়ে কমপক্ষে বারোজন খেলোয়াড় বেশি অংশ নিয়েছে। অথচ এই বারোজন খেলোয়াড় যে বেশি অংশ নিয়েছেন, তা সচিব জানেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বারোজন খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রেশন ফি গেল কোথায়? কারা, কীসের স্বার্থে সেই সংখ্যা লুকিয়ে রাখলেন? কি রকম অব্যবস্থা।
এতসব অব্যবস্থার মধ্যে অতনুরা কোন খেলা দেখান, এখন সেটাই দেখার!!!!